করোনাকালে অনলাইন কার্যক্রম

করোনাকালে-অনলাইন-কার্যক্

গত কয়েক মাস ধরে পুরো পৃথিবী কার্যত অচল। মিল-কারখানা, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে আছে। এ পরিস্থিতির কবে উন্নতি ঘটবে, কারও জানা নেই। পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? তাই দেশে দেশে অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে নিজেকে বাঁচিয়ে একটু একটু করে কাজে ঢোকার চেষ্টা করছেন।

ঘরে বসে অনলাইনে নিজের কাজটুকু চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। দেশে জুন থেকে শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেছে। অনেক ডাক্তার টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রোগীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। বিচারব্যবস্থায় ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম এবং পরিধি বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর বাইরেও অনেক প্রতিষ্ঠান জনগণকে ই-সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। করোনার এ দুর্যোগ পরিস্থিতি মেনে নিয়েই মানুষ দৈনন্দিন কার্যক্রমে ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে, আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ সময় ধরে অনলাইন পাঠক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে, কেউ আবার ঘরে বসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পাঠক্রমে যুক্ত হচ্ছেন। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এটি একেবারেই একটি নতুন অভিজ্ঞতা।

শিক্ষার্থীরা পাঠটি বুঝল কিনা, পাঠদান পদ্ধতি তাদের পছন্দ হল কিনা, শিক্ষকরা তাৎক্ষণিকভাবে তা বুঝতে পারছেন না। ক্লাসরুম লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীরা যত সহজে কোনো বিষয় বুঝতে পারে, এ পদ্ধতিতে তা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও যথোপযুক্ত রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না, এতে দু’পক্ষের মধ্যেই এক ধরনের অতৃপ্তি বিরাজ করছে।

অনেক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত কম্পিউটার নেই। ফলে অনলাইনে যুক্ত হওয়ার জন্য স্মার্টফোনই তাদের ভরসা। ৪-৫ ঘণ্টার ক্লাসে একটানা ছোট্ট একটি ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ ও মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ক্লাস ফলো করাটা একঘেয়েমি ও বৈচিত্র্যহীন হয়ে উঠছে।

আধুনিক যুগে শিক্ষা কার্যক্রম টুওয়ে কমিউনিকেশন, আর এটিই এখানে বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের কাছে পুরো কার্যক্রমটি আনন্দময় করে তুলতে হবে। এ থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশ-বিদেশের সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিজ্ঞতা ও পদ্ধতি কাজে লাগানো এবং বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিতে হবে।

সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনমানুষকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও বেশি আগ্রহী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আমাদের স্কুল পর্যায়ে আইসিটির ১০০ নম্বরের একটি সাবজেক্ট আছে। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির অনেক কিছুই পড়ানো হয়। ই-মেইলে কোন চিঠির বিষয়বস্তু কী হবে, কীভাবে লিখতে হবে তাও শেখানো হয়। কিন্তু একটি মেইল কীভাবে পাঠাতে হয়, মেইলে কীভাবে ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হয়, তা শেখানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।

অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীরা হাত দিয়ে কম্পিউটার ধরারই সুযোগ পায় না। তাহলে তাদের কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা আসবে কীভাবে? হাতে-কলমে জ্ঞান দিতে না পারলে থিওরি পড়িয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে না। তাই প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষত যেসব প্রতিষ্ঠানে অসচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে, সেসব প্রতিষ্ঠানে সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা দরকার।

অনলাইন কার্যক্রমের প্রধান শর্ত হল ইন্টারনেট কানেকটিভিটি। অনলাইন ক্লাসের জন্য শহর অঞ্চলে ওয়াইফাই সুবিধা থাকলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল ডাটা ছাড়া ইন্টারনেট সুবিধা নেই। আর মোবাইল ইন্টারনেটও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে খুবই দুর্বল। এর মাধ্যমে ক্লাস করা অত্যন্ত কঠিন এবং একইসঙ্গে ব্যয়বহুল।

দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৪ হাজার, অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিক স্কুল আরও ১৭ হাজারের মতো এবং কলেজ প্রায় আড়াই হাজার। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী প্রায় ৫ কোটি। এর একটি ক্ষুদ্র অংশই অনলাইনে শিক্ষার সুবিধা পাচ্ছে। অর্থাৎ এখনও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়ে গেছে। আশার কথা, সরকার দেশের সব শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি-নেটওয়ার্কের ভেতরে নিয়ে আসার জন্য নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অনলাইন কার্যক্রমের আওতায় আনতে হবে। যেসব শিক্ষার্থীর বাসায় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার নেই, তাদের অভিভাবকের আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনায় নিয়ে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে অথবা সহজ কিস্তিতে কম্পিউটার সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। আইসোলেশন বা সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে বিশ্ববাসীকে আর কতদিন চলতে হবে কে জানে! তারপর পত্রিকায় দেখছি, আরও অনেক নতুন নতুন ভাইরাস মানবজাতিকে ছোবল মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।

সরকারি দফতরগুলো ই-নথি কার্যক্রম শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। প্রতিনিয়ত এর ব্যাপ্তি ও পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। ঘরে শুয়ে-বসে, গাড়িতে এবং বিদেশে যেখানেই ইন্টারনেট সুবিধা আছে, সেখান থেকেই ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে দাফতরিক কাজকর্ম সমাধা করা যাচ্ছে। কিন্তু ই-নথিতে কিছু কিছু ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছে; যেমন- ফাইলে নোট দেয়ার সময় প্রয়োজনে আইনের বিধি-বিধান, পূর্ব নজির উল্লেখ ও সংযোজনী উপস্থাপন করতে হয়।

এজন্য অনলাইনে একটি আর্কাইভ-গার্ড ফাইল সৃজন করা হয়ে থাকে; যেখানে আইন-কানুন, বিধি-বিধান এবং আগের সব গুরুত্বপূর্ণ নজির, সিদ্ধান্ত, মতামত সংরক্ষিত থাকে। ফাইল ইনিশিয়েটর, ঊর্ধ্বতন ও অনুমোদনকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনমতো আর্কাইভ থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের এ সংক্রান্ত আর্কাইভে সবকিছু থাকে না। ফলে রেফারেন্স ঘাটতির কারণে সিদ্ধান্ত প্রদানে অনেক ক্ষেত্রেই বিলম্ব হয়ে যায়। তাই এটিকে আরও কার্যকর ও সমৃদ্ধ করতে হবে।

অনেকেরই কম্পোজ বা টাইপিংয়ে যথেষ্ট দক্ষতা না থাকায় তারা শুধু ‘বিল্ট-ইন-টেমপ্লেট’ ব্যবহারের মাধ্যমে মতামত দিয়ে ফাইল উপরে বা নিচে পাঠিয়ে দেন, এতে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে অনেক সময় কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। সবাইকে কম্পিউটার কম্পোজ-টাইপিংয়ে অন্তত ন্যূনতম একটি পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।

ই-নথির সার্ভার এরর, শ্লথগতি, পদ্ধতিগত ত্রুটি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। সার্ভারের ব্যান্ডউইথ বাড়িয়ে একসঙ্গে বেশিজনের নিরবচ্ছিন্ন কাজের সুবিধা তৈরি করতে হবে। করোনার এ যুগে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় দাফতরিক কাজকর্মে ই-নথি যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অনলাইন কার্যক্রমের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রত্যেক দফতর এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেপারলেস প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের এখনই সময়।

আমাদের অধিকাংশ ব্যাংকেই অনলাইন পদ্ধতি চালু হয়েছে। একজন সাধারণ অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বা গ্রাহকের কাছে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রথম পাঠ হল- যে ব্যাংকে যার অ্যাকাউন্ট আছে ওই ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে সে টাকা তুলতে ও জমা দিতে পারবে, যেমনটি নিজের শাখায় করতে পারে।

কিন্তু আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি সেবাদানকারী অধিকাংশ ব্যাংকেই কোনো গ্রাহক একই ব্যাংকের কোনো শাখা থেকে অন্য শাখায় ভিন্ন কারও অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে গেলে তার কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ কেটে নেয়া হয়। এটা কি সার্ভিস চার্জ, না ক্যারিং কস্ট? বিষয়টি কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। বিষয়টি অনেকটা এরকম- যেহেতু তোমার অ্যাকাউন্ট আমার শাখায় নেই, সেহেতু তোমাকে কিছু মাশুল দিতেই হবে! অনলাইন ব্যাংকিংয়ের শুরুতে গ্রাহককে হোঁচট না খাওয়ানোই ভালো।

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ ছাড়া অন্য রোগী খুবই কম, প্রায় সব ওয়ার্ডে বেড খালি পড়ে আছে। রোগীরা করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হাসপাতাল-ক্লিনিক এড়িয়ে চলছেন। হাসপাতাল, বেসরকারি ক্লিনিকে অন্য রোগের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না, ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসও বন্ধ।

এ অবস্থার অবসানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে দেশে ইতিমধ্যে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি একেবারেই একটি নতুন ধারণা। এ পদ্ধতিতে উভয়ের মাঝে এক ধরনের অতৃপ্তি বিরাজ করছে। অনেক ডাক্তারের বক্তব্য হল, রোগীকে স্পর্শ না করে, তার ব্লাড প্রেসার না মেপে, আনুষঙ্গিক প্রাথমিক পরীক্ষা ছাড়া তাকে দূর-চিকিৎসা দেয়াটা সব ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে টেলিমেডিসিনকে কার্যকর, ডাক্তার ও রোগীবান্ধব পদ্ধতিতে পরিণত করতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।

বিভিন্ন সেবাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থার অনলাইন সেবাপ্রাপ্তিতে যে ধাপগুলো অতিক্রম করতে হয় তা সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর পক্ষে অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে; কোনো কোনো সময় সম্ভবই হয় না। ফলে বাধ্য হয়ে কম্পিউটারে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে হয়।

সে জন্যই বাজার-বন্দর, রাস্তার মোড়, মার্কেটে কম্পিউটার সেবাপ্রাপ্তির প্রায় সব দোকানেই লেখা থাকে- ‘এখানে অনলাইন ফরম পূরণ করা হয়’। অনলাইন ফরম ফিলআপের জটিলতা ও ঝামেলা এড়াতে খোদ শিক্ষার্র্থী থেকে শুরু করে জনগণের একটি বড় অংশকে কম্পিউটার দোকানের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। তাই অনলাইন সেবাপ্রাপ্তির অ্যাপস ও ধাপগুলো আরও সহজীকরণ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দরকার।

মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক খোদ ঢাকা শহরের সব জায়গায় পাওয়া যায় না। যেসব জায়গায় হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের আধিক্য, সেসব জায়গায় সাধারণ নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট যেন সোনার হরিণ। আর যারা ফিক্সড ফোনের মাধ্যমে নেট ব্যবহার করেন তাদের তো ভোগান্তির অন্ত নেই, লাইন সচল রাখতেই হিমশিম খেতে হয়। নেটওয়ার্ক জটিলতা দূর করতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া দরকার। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা অনলাইন কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে।

দুর্বল ইন্টারনেটের কারণে সব জায়গায় সব ধরনের কাজে অনলাইন সুবিধা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই মূল্যসাশ্রয়ী, শক্তিশালী ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থার বিকল্প নেই। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছি খুব একটা বেশিদিন হয়নি। ‘অনলাইন’, ‘আইটি’, ‘কম্পিউটার’- এ বিষয়গুলোতে সিংহভাগ মানুষের জড়তা এখনও কাটেনি। তাই অনলাইন কার্যক্রম ও সেবা গ্রহণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনীহা পরিলক্ষিত হয়।

সরকারের তরফ থেকে বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জাতি গঠনে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জনগণকে এ যাত্রায় পুরোপুরি শামিল করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারে মনের মধ্যে তাগিদ তৈরি করতে হবে। তাহলে সহসাই আমরাও পৌঁছে যাব তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি চর্চার সর্বোচ্চ শিখরে।

সালাহ্উদ্দিন নাগরী : সরকারি চাকরিজীবী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *