বিনা মূল্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউয়ের

বিনা-মূল্যে-তথ্যপ্রযুক্ত

তথ্যপ্রযুক্তির ওপর বিনা ফি-তে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক–বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ)। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মুসলমান মেধাবী যুব সমাজের শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয়ে বিনা ফি-তে বিভিন্ন মেয়াদি প্রফেশনাল ডিপ্লোমা প্রদান করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৯১ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই দেশে–বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি পেশায় কাজ করছেন।

প্রতি বছর ৪টি রাউন্ডে এখানে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি করানো হয়। এখন চলছে রাউন্ড ৪০–এর আবেদনপ্রক্রিয়া। আবেদন করতে হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে।

যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ এখানে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর কয়েকটি বিষয়ে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর্কিটেকচারাল অ্যান্ড সিভিল ক্যাড, ডেটাবেইস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস, অ্যানিমেশন অ্যান্ড ভিডিও এডিটিং, এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন-J2EE, এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন-C#, নেটওয়ার্কিং টেকনোলজিস এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট উইথ পিএইচপি অ্যান্ড ফ্রেমওয়ার্কস এসব বিষয়ে।

আবেদনপ্রক্রিয়া ও যোগ্যতা: এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হলে আবেদনকারীকে স্নাতক বা ফাজিল পাস হতে হবে। আবেদন করতে হলে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে apply.idb-bisew.info এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে আবেদনকারীকে ১০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসারে বিকাশ নম্বরে পাঠাতে হবে। বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে বছরে ১২০০ জন প্রশিক্ষণার্থী এখানে ভর্তি হতে পারে। আবেদনপত্র যাচাই বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের অ্যাপ্টিচ্যুড পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। অ্যাপ্টিচ্যুড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে। এই অ্যাপ্টিচ্যুড পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মহানগরীতে মনোনীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে। প্রশিক্ষণ দেবেন দেশের বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর সৈয়দ রায়হান বাশার বলেন, দেশে এখন প্রায় অনেকেরই তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে ভালো কোনো চাকরি হচ্ছে না। তাই নিজেকে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কোর্স শেষে তাঁদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
কাজের ক্ষেত্র: তথ্যপ্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, বায়িং হাউস, আইটি ফার্ম, এনজিও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। সবচেয়ে চাহিদা আছে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোয়। এতে ভালো বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাওয়া যায়। এ ছাড়া নিজে ব্যবসা করেও ভালো আয় করা সম্ভব। অর্থ্যাৎ যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার আছে, সেখানেই তাঁরা কাজের সুযোগ পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *